এমন কিছু কাজ আছে, যার দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। অথচ অনেকে এগুলোকে রোজাভঙ্গের কারণ মনে করে। ফলে এমন কোনো কাজ হয়ে গেলে রোজা ভেঙ্গে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত পানাহার করে।
এমন কিছু কাজ আছে যেমন, রোজা অবস্থায় বমি হলে রোজা ভাঙবে কি না- এ নিয়ে অনেকেই আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে থাকি।
আসুন, এ সম্পর্কে জেনে নিই শরিয়তের নির্দেশনা! বমির পরিমাণ বেশি হোক বা কম। সেটা খাদ্য বমি হোক বা রক্ত বমি। মনে রাখতে হবে, রোজা হলো পানাহার না করার নাম। বমি হলে তো পানাহার করা হয় না; বরং তার বিপরীত হয়। বমি হওয়ার পর রোজা পালনে সক্ষম হলে তা পূর্ণ করবে। আর অক্ষম হলে রোজা ছেড়েও দিতে পারবে। এই রোজা পরে কাজা আদায় করতে হবে। কাফফারা প্রয়োজন হবে না।
বমি মুখে আসার পর তা গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে। ইচ্ছাকৃত বমি করলে রোজা ভঙ্গ হবে। এ অবস্থায় কাজা ও কাফফারা উভয় আদায় করতে হবে। অনুরূপভাবে কোনো কারণে অজ্ঞান হলে (যাতে সাধারণত রোজার বিপরীত কিছু ঘটে না) তাহলেও রোজা ভঙ্গ হবে না।
তবে দুর্বলতা বা অসুস্থতার কারণে প্রয়োজনে পানাহার বা ওষুধ সেবনে রোজা ভাঙলে পরে কাজা আদায় করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, বমি হওয়া ও অজ্ঞান হওয়া অজু ভঙ্গের কারণ; রোজা ভঙ্গের কারণ নয় ।